1. admin@dainiksatarkbarta.com : admin :
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা, অভিযুক্ত হযরত আলী পলাতক মাসুম মুহীদ বিশ্বাস আর নেই! পুকুরে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু সীমান্তে বারুদ ছড়াল আবারও: চোরাচালান বিরোধে যুবক গুলিবিদ্ধ দরিদ্র পরিবারের স্বপ্নভঙ্গ: মালয়েশিয়ায় প্রবাসী পিকুলের আকস্মিক মৃত্যু শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সমলয় পদ্ধতিতে বোর ধান কর্তনের উদ্বোধন সিংড়ায় ফেনসিডিলসহ দুই ভাই গ্রেপ্তার সমাবেশ সফল করায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকর্মীদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ  নড়াইলের লোহাগাড়া থানার ওসি আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান যুবদল কর্মী সালমান হত্যা মামলা আসামি গ্রেফতার  ‎হঠাৎ অভিযোগের মুখে বেতন আদায় বন্ধ! কী ঘটছে মোমেনা স্কুলে? অল ইন্ডিয়া ফকির আলম উপস্থিতে নামাজগড় মাদ্রাসায় মানবাধিকার কমিশনের বৈঠক 

ঘুমধুমে ফের সক্রিয় ইয়াবা সিন্ডিকেট

  • Update Time : বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১১ Time View

 

 

কক্সবাজার অফিস থেকে

 

 

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের উখিয়ার ঘুমধুম এলাকায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে কুখ্যাত ইয়াবা সিন্ডিকেট। এই চক্রের অন্যতম নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিত আলোচিত ব্যক্তি মো. ইলিয়াস বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক অভিযান ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

 

তবে তাকে নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে এখন প্রশ্ন—ইলিয়াস কি সত্যিই পলাতক, নাকি কোনো প্রভাবশালী মহলের ছায়ায় আড়ালে অবস্থান করছেন?

 

প্রভাবশালী মহলের প্রশ্রয়?

 

বিশ্বস্ত একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ইয়াবা সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা প্রকাশ্যে আসার পর ইলিয়াস নিজ এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে যান। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় একাধিক রাজনৈতিক নেতার সহযোগিতায় তিনি এখনো নিরাপদে রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানায়, “ইলিয়াসকে প্রশাসন খুঁজে না পেলেও স্থানীয় একাধিক নেতা তাকে রক্ষা করতে সক্রিয় রয়েছেন।”

 

এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে আলোচিত দুই নেতার নাম উঠে এসেছে—সাইফুদ্দিন বাহাদুর ও মুজিবুর রহমান। অভিযোগ রয়েছে, তারা ইলিয়াসের সঙ্গে ব্যবসায়িক অংশীদার এবং তাকে আইনের হাত থেকে রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।

 

রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য

 

এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুদ্দিন বাহাদুর বলেন, “ইলিয়াসকে আমি ব্যক্তিগতভাবে খারাপ মনে করি না। তার সঙ্গে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে আমার সম্পৃক্ততা নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি তাকে খুঁজে পায়, গ্রেপ্তারে আমার কোনো আপত্তি নেই।”

 

অন্যদিকে, সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ইলিয়াসের সঙ্গে আমার ব্যবসায়িক যোগাযোগ রয়েছে। তবে তার কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই।”

 

প্রশাসনের নজরে

 

সূত্র জানায়, মো. ইলিয়াস ‘৮ সিস্টার সিন্ডিকেট’ নামে পরিচিত একটি সংঘবদ্ধ চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য। সীমান্তপথে ইয়াবা পাচারে তার বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়। ২০২০ সালে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ আত্মীয়স্বজনের নামে থাকা এবং নিজস্ব বাহিনী দিয়ে মাদক পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ রয়েছে।

 

দলীয় অবস্থান

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবান জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাচিং প্রু জেরী বলেন, “দল দুর্নীতি ও অপরাধের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। ইলিয়াসের বিষয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

 

জনমনে ক্ষোভ

 

স্থানীয়রা বলছেন, “চিহ্নিত অপরাধীরা যদি রাজনৈতিক আশ্রয়ে পালিয়ে থাকতে পারে, তবে মাদকবিরোধী অভিযান শুধু লোক দেখানো। এর ফলে সাধারণ মানুষ আস্থা হারাচ্ছে।

Facebook Comments Box

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
  © স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪ দৈনিক সতর্ক বার্তা
Theme Customized By Shakil IT Park