মণিরামপুরে ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টাকারীকে মারধর,অবশেষে কারাগারে
মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ যশোরের মণিরামপুরে আমেনা খাতুন নামের ৪ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।এলাকাবাসী ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত মোঃ আল আমিন হোসেনকে মারধর করে ৯৯৯ এ যোগাযোগের মাধ্যমে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।আহত আল আমিনকে উদ্ধারের পর মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা পরবর্তী আদালতে প্রেরণ করেছে মণিরামপুর থানা পুলিশ বলে জানাযায়।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের পিতা মোঃ রুবেল হোসেন বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।প্রাথমিক ভাবে ভিকটিমের জবানবন্দি ও ধর্ষণ চেষ্টার আলামতের সত্যতা পাওয়ায় গত ১৮ই মে মণিরামপুর থানায় একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে যার মামলা নং ২৭।
মণিরামপুর থানার গত ১৮ই মে রেকর্ডকৃত মামলার বিবরণ থেকে জানাযায়,উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের বাঙ্গালীপুর গ্রামের মোঃ রুবেল হোসেনের ৪ বছরের শিশুকন্যাকে(আমেনা) গত ১৭ই মে সকাল ৭টার দিকে প্রতিবেশি মৃত মাহাতাব গাজীর ছেলে আল আমিন জিলাপী ও আমের লোভ দেখিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।ধর্ষণ চেষ্টাকারী আল আমিন কৌশলে আমেনাকে তার ঘরে খাটের উপর উঠিয়ে শারীরিকভাবে হেনস্তার চেষ্ঠা করে ব্যার্থ হয়।১৭ই মে দিবাগত রাত আনুমানি ১০ঃ৩০ মিঃ এর শিশু আমেনা তার বাবা রুবেল হোসেনের কাছে এসমস্ত ঘটনা বলে।বাদী রুবেল হোসেন এলাকাবাশীকে বিষয়টি জানালে স্থানীয়রা ক্ষুদ্ব হয়ে ধর্ষণ চেষ্টাকারী আল আমিনকে মারধর করে মণিরামপুর থানা পুলিশকে অবগত করে।এদিকে অভিযুক্ত আল আমিন হাসপাতালে চিকিৎসারত থাকা অবস্থায় তথ্য সংগ্রহে গেলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে এটাকে একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবী করে।
মামলার বাদী রুবেল হোসেন জানান,আমার ৪ বছরের মেয়ের সাথে যা ঘটেছে আমি তার সঠিক বিচার চাই।
সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন মণিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ গাজী।
এ ব্যাপারে মামলার সত্যতা ও ৪ বছরের শিশুর প্রাথমিক জবানবন্দি অনুযায়ী আল আমিনকে গ্রেফতার করে আদালত প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান এএসপি মণিরামপুর সার্কেল ইমদাদুল হক।